মায়াপুর ইন্সটিটিউট

শাস্ত্রীয় শিক্ষা বিষয়ে পূর্বতন আচার্যগণের

মনোভাব উদ্দেশ্য

শ্রীমদ্ভাগবত, ষট্সন্দর্ভ, বেদান্তদর্শন প্রভৃতি শুদ্ধভক্তি তাৎপর্যময়তা দেখাইবার আমার আন্তরিক যত্ন ছিল । এই কার্যের ভার তুমি গ্রহণ করিবে। শ্রীমায়াপুরে বিদ্যাপীঠ স্থাপন করলে মায়াপুরে উন্নতি হবে।

শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের প্রতি শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের নির্দেশ

গীতা – পরমার্থ-বিদ্যালয়ের প্রাথমিক পুস্তক । এতে পরমার্থে প্রাথমিক প্রবেশার্থীর জন্য Lessons আছে। প্রথমে elementary studies তারপর practical studies সর্বশেষে higher studies হ’ল ভাগবত। ভাগবতে comparative studies আছে। comparative study সম্পন্ন করলে ভাগবত হতে পারা যায়।

শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর

“আমাদের সংঘের সব ব্রাহ্মণকে এবং যারা তা হতে চায়, তাদেরকে মায়াপুরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে । ভগবদ্গীতা, ভক্তিরসামৃতসিন্ধু, উপদেশামৃত, ঈশোপনিষদ এবং অন্য ছোট গ্রন্থগুলোর ওপর তাদের খুব ভালো ধারণা থাকা চাই। পরীক্ষায় কৃতকার্য হলে তাদের ভক্তিশাস্ত্রী সনদ প্রদান করা হবে। আর যাঁরা সন্ন্যাসী, তাঁদের ভক্তিবৈভব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।–

শ্রীল প্রভুপাদ, তুষ্ট কৃষ্ণ দাসের কাছে পত্র, বম্বে, জানুয়ারি ১৯৭৬

 

মায়াপুর ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশন ঢাকা, বাংলাদেশ

পারমার্থিক শিক্ষার জন্য পৃথিবীর কোথাও কোনো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তাই আমরা মায়াপুরে এমন এক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই, যেখানে যর্থাথভাবে পারমার্থিক শিক্ষা প্রদান করা হবে।

উদ্দেশ্য কার্যক্রম

উদ্দেশ্য: শ্রীল প্রভুপাদ, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও পূর্বতন আচার্যবর্গের শিক্ষা ও আদর্শের ভিত্তিতে পারমার্থিক তত্ত্বজ্ঞান উপলব্ধিপূর্বক তা ব্যক্তিগত জীবনে অনুশীলনের জন্য সঠিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। শ্রীল প্রভুপাদ কর্তক অনূদিত ও ভাষ্যকৃত গ্রন্থসমূহের ওপর আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ করে পাঠদানের ব্যবস্থা করা ।

কার্যক্রম: উক্ত উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সময়োপযোগী বিভিন্ন কোর্সের আয়োজন করা। শাস্ত্রজ্ঞ শিক্ষক কর্তৃক আরো যথার্থ, আর্কষণীয় ও পদ্ধতিগত ভাবে তত্ত্ব উপস্থাপন করা। পাঠ অনুযায়ী সুনিদিষ্টি পাঠ্যসূচি, আধুনিক সরঞ্জাম ও ব্যবহারিক উপকরণের ব্যবস্থা করা। ভক্ত, পেশাধারী, গৃহস্থ, ছাত্র, সবার উপযোগী সময়ে ও ছুটির দিনে কোর্স সম্পন্ন করার সুব্যবস্থা করা ।

কোর্সসমূহের বিবরণ

ভক্তিশাস্ত্রী (প্রতি সপ্তাহে একটি করে ক্লাশ, মেয়াদ: এক বছর)

সমস্ত বৈদিকশাস্ত্রের সারাতিসারস্বরূপ শ্রীমদ্ভগবতগীতাসহ উপদেশামৃত, ঈশোপনিষদ ও ভক্তিরসামৃতসিন্ধুর ওপর যর্থাথ ও সুগভীর জ্ঞান উপস্থাপনের জন্য আধুনিক সরঞ্জাসহ বিভিন্ন উদাহরণ, উদ্ধৃতি, উপমা ও নোট সহযোগ সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো হয়েছে এ কোর্সটি।

ভক্তিবৈভব (প্রতি সপ্তাহে একটি করে ক্লাস, মেয়াদ: দুই বছর)

ভক্তিবৈভব কোর্স (মডিউল): শ্রীমদ্ভাগবতের প্রথম তিন স্কন্ধ এ কোর্সের পাঠ্যবিষয়। সুবিন্যস্ত পাঠ্যসূচি, আধুনিক সরঞ্জাম, বিভিন্ন উদাহরণ, উপমা ও নোট সহযোগে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয়দিকই সুশৃঙ্খলভাবে আলোচিত হয় । শুদ্ধভাবে ভগবদ্ভক্ত ও দক্ষ প্রচারক হয়ে ওঠার জন্য এ কোর্সের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম ।

হরিনামামৃত (দশ পর্বের পাঠ)

নামতত্ত্বের বিষদ ব্যাখাসহ প্রতিটি নামপরাধের কারণ, যৌক্তিকতা এবং তা থেকে মুক্তির উপায়, নামাভাস, শুদ্ধনাম এবং নামগ্রহণের কৌশল সম্বন্ধে এই কোর্সে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়, যা জানার ফলে হরিনামের প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় হয়, নিষ্ঠা ও প্রীতিও জন্মায়।

ইস্কন শিষ্য প্রশিক্ষণ কোর্স (ছয় পর্বের পাঠ্যক্রম)

ইস্কনের ভক্তগণ যাতে গুরুতত্ত্ব, গুরু-পরম্পরা, দীক্ষা ও শিক্ষাগুরু, সন্ন্যাসী, ইস্কন কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বসমূহ যর্থাথভাবে হৃদয়ঙ্গম করে সৌহার্দ্য ও সম্প্রতির সাথে সকলে মিলে কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচার করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই প্রাথমিক ও বাধ্যতামলূক এ কোর্সটি ইস্কন জিবিসি ও গুরু –পরিসেবা কমিটি কতৃক প্রণীত হয়েছে।

আধ্যাত্মিক রহস্যের বৈজ্ঞানিক ব্যাখা (ছয় পর্বের পাঠ্যক্রম)

  • প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি মানুষই সত্যের অনুসন্ধান করছে। কিন্তু উপযুক্ত উৎস না পেয়ে অধিকাংশই হয় বিভ্রান্ত হচ্ছে নতুবা পরম সত্য অনুসন্ধানে আস্থা হারাচ্ছে । হাজারো বিভ্রান্তিকর প্রশ্নে দিশাহারা এই সমাজকে পরম সত্যের সন্ধান দিয়ে অজানা সব রহস্য উন্মেচন করতে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক কোর্স

‘‘ আধ্যাত্মিক রহস্যের বৈজ্ঞানিক ব্যাখা”