শ্রীভোগ আরতি
ভজ ভকতবৎসল শ্রীগৌরহরি।
শ্রীগৌরহরি সোহি গোষ্ঠবিহারী, নন্দ-যশোমতী-চিত্তহারী ॥১॥
বেলা হ’লো, দামোদর, আইস এখন। ভোগ-মন্দিরে বসি’ করহ ভোজন ॥২॥
নন্দের নির্দেশে বৈসে গিরিবরধারী। বলদেব-সহ সখা বৈসে সারি সারি ॥৩॥
শুকদা-শাকাদি ভাজি নালিতা কুষ্মাণ্ড। ডালি ডালনা দুগ্ধতুম্বী দধি মোচাঘণ্ঠ ॥৪॥
মুদ্গবড়া মাষবড়া রোটিকা ঘৃতান্ন ॥ শষ্কুলী পিষ্টক ক্ষীরপুলী পায়সান্ন ॥৫॥
কর্পূর অমৃতকেলী রম্ভা ক্ষীরসার। অমৃত রসালা, অম্ল দ্বাদশ প্রকার ॥৬॥
লুচি চিনি সরপুরী লাড্ডু রসাবলী। ভোজন করেন কৃষ্ণ হয়ে কুতুহলী ॥৭॥
রাধিকার পক্ক অন্ন বিবিধ ব্যঞ্জন। পরম আনন্দে কৃষ্ণ করেন ভোজন ॥৮॥
ছলে-বলে লাড্ডু খায় শ্রীমধুমঙ্গল । বগল বাজায়, আর দেয় হরিবোল ॥৯॥
রাধিকাদি গণে হেরি, নয়নের কোণে। তৃপ্ত হ’য়ে খায় কৃষ্ণ যশোদ-ভবনে ॥১০॥
ভোজনান্তে পিয়ে কৃষ্ণ সুবাসিত বারি। সবে মুখ প্রক্ষালয় হ’য়ে সারি সারি ॥১১॥
হস্ত-মুখ প্রক্ষালিয়া যত সখাগণে। আনন্দে বিশ্রাম করে বলদেব সনে ॥১২॥
জম্বুল রসাল আনে তাম্বুল মসালা। তাহা খেয়ে কৃষ্ণচন্দ্র সুখে নিদ্রা গেলা ॥১৩॥
বিশালাক্ষ শিখি-পুচ্ছ চামর ঢুলায়। অপূর্ব শয্যায় কৃষ্ণ সুখে নিদ্রা যায় ॥১৪॥
যশোমতী-আজ্ঞা পেয়ে ধনিষ্ঠা-আনীত। শ্রীকৃষ্ণপ্রসাদ রাধা ভুঞ্জে হয়ে প্রীত ॥১৫॥
ললিতাদি সখীগণ অবশেষে পায়। মনে মনে সুখে রাধা কৃষ্ণগুণ গায় ॥১৬॥
হরিলীলা একমাত্র যাঁহার প্রমোদ। ভোগারতি গায় সেই ভক্তিবিনোদ ॥১৭॥
(updated on 26 March 2019)